ডক্টর ইউনুস কে আলেমদের সাথে বসার আহ্বান পিনাকির: সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ - ইউনুস পশ্চিমা এজেন্ট?
বাংলাদেশের জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন বিষয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং ধর্ম প্রিয় মুসলিম জনতা এবং বাংলাদেশের সকল ঘরানার আলেম-ওলামা আপত্তি জানিয়েছেন। আপত্তি জানিয়েছেন এনসিপির সিনিয়র নেতা সার্জিস আলম। কিন্তু এতেও ডক্টর ইউনুস কোন কর্ণপাত করছেন না।
সম্প্রতি ডঃ পিনাকী ভট্টাচার্য তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে লিখেন
“জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন নিয়া বাংলাদেশের আলেমরা আপত্তি জানাইতেছেন। উনাদের কথা ক্যান প্রফেসর ইউনুসের সরকার শুনতেছেন না? আজিব বাত। একবার কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেছেন না কেন? এতো অবহেলা কেন? ধর্ম উপদেষ্টা নিয়োগের সময়ে নাকি হেফাজতের পরামর্শ নেয়া হইছিলো শুনছি। উনি কেন কিছু বলতেছেন না? উনিও তো আলেমদের ডাইক্যা উনাদের আপত্তিগুলা শুনতে পারেন।
উনারা বুঝতেই পারতেছেন না কোনটা আমলে নিতে হয় আর কোনটা আমলে নিতে হয়না। সোহেল তাজের পরিবারের সাথে দেখা করে কথা বলার টাইম হয় প্রফেসর ইউনুসের আর এতোজন আলেম একটা কথা বলতে চাইতেছেন সেইটা শুনবেন না প্রফেসর ইউনুস?
দ্রুত এই বিষয় নিয়ে হেফাজত এবং ধর্মীয় নেতাদের সাথে বসুন।”
প্রসঙ্গত: প্রফেসর ইউনূসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে আজ ১৯ জুলাই একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
নিচে সংক্ষিপ্তভাবে সেই বিবৃতির মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হলো: কেন এই মানবাধিকার অফিস?
1. সমঝোতা স্মারক সই:
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস (OHCHR) ও বাংলাদেশ সরকার তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
2. মিশনের লক্ষ্য:
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা, আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানবাধিকার বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
3. পটভূমি:
২০২৪ সালের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
4. সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা:
মিশন বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাঠামোর প্রতি সম্মান দেখিয়ে কাজ করবে এবং কোনো বিদেশি সামাজিক এজেন্ডা চাপাবে না।
5. জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার:
বিগত সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার দায়মুক্তির মতো ঘটনা এড়াতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও প্রতিকারে মিশন কাজ করবে।
6. স্বচ্ছতা ও সহযোগিতা:
মিশন স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
7. সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ:
সরকার প্রয়োজনে এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করছে যদি তা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী মনে হয়।
8. মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি:
সরকার মানবাধিকারকে আদর্শ নয়, বরং ন্যায়বিচার ভিত্তিকভাবে বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
9. প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ:
এই অংশীদারিত্বকে সরকার জনগণের সুরক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা বৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে।
কিন্তু দেখতে যতটা সুন্দর ও সচ্ছ মনে হচ্ছে বাস্তবে তা হবে ভয়ংকর ও মুসলিমদের জন্য এক অবর্ণনীয় কাল অধ্যায়। কারণ মুসলিম বিশ্বে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে
বিশেষত ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যুতে মুসলিমরা জাতিসংঘ ও পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গভীর অনাস্থা প্রকাশ করেছে, কারণ:
ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ, শিশু ও নারীদের হত্যা, হাসপাতাল ধ্বংস—এসব দেখেও জাতিসংঘের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই
জাতিসংঘ মাঝে মাঝে বিবৃতি দিলেও জেনোসাইড ঠেকাতে ব্যর্থ
অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায়ের অবস্থান গ্রহণে দ্বিমুখী আচরণ
বাংলাদেশের মুসলমানদের অনুভূতি কী হতে পারে?
বাংলাদেশের অনেক মুসলমান হয়তো ভাবছেন:
"যেখানে ফিলিস্তিনে শিশুদের হত্যা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘ কিছু করতে পারছে না। তাহলে তারা আমাদের দেশে এসে কী করবে?"
"জাতিসংঘের নাম করে বিদেশি এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে কি না?"
"মানবাধিকারের নামে কি ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ হবে?"
ডক্টর ইউনূস এর সেই বিবৃতি পোস্টের কমেন্ট বক্সে গেলে আসল চিত্র ফুটে উঠবে কয়েকটি কমেন্টের Screenshot আমি এখানে যুক্ত করছি।
আমি ১০০ প্লাস কমেন্ট পড়েছি, এই বিজ্ঞপ্তির পক্ষে একটা মন্তব্য ও আমার চোখে পড়েনি। দল মত নির্বিশেষে সকল নাগরিক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।