মুক্তকলম ২৪

ট্রাম্প ইসরায়েলকে দিয়ে ইরান আক্রমণ করিয়ে তেহরানকে পারমাণবিক বোমার পথে ঠেলে দিচ্ছেন: David Hearst

ট্রাম্প ইসরায়েলকে দিয়ে ইরান আক্রমণ করিয়ে তেহরানকে পারমাণবিক বোমার পথে ঠেলে দিচ্ছেন: David Hearst

ট্রাম্প ইসরায়েলকে দিয়ে ইরান আক্রমণ করিয়ে তেহরানকে পারমাণবিক বোমার পথে ঠেলে দিচ্ছেন: David Hearst



মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইসরায়েল যেভাবে ইরানকে বোমাবর্ষণ করছে, তা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

ডেভিড হিয়ারস্ট এক মতামত প্রতিবেদনে লিখেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের মতোই ভয়াবহ ফল বয়ে আনতে পারে। ইরাক যুদ্ধ যেমন মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছিল, তেমনই এই পদক্ষেপ ইরানকে ত্বরান্বিত করে তুলবে একটি কার্যকর পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে।

ট্রাম্প যখন ইরানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছেন, তখন পেছনে থেকে ইসরায়েলকে সহায়তা করে হামলা চালাতে দেওয়া একটি বড় প্রতারণা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটি যেন কোনো মাফিয়া গ্যাংয়ের কৌশল, বিশ্বশক্তির নয়।”

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকর্তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়, এবং ট্রাম্প পরে বলেন, “চুক্তিতে ফিরে আসুন, না হলে শেষ হয়ে যাবেন।”

হিয়ারস্টের মতে, ইরান এমন একটি রাষ্ট্র যার দীর্ঘ ইতিহাস ও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে, বিশেষত ইরাকের সঙ্গে আট বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ইরান তার প্রতিরক্ষা কৌশল গড়েছে এবং অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় মিত্রদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

তবে বর্তমানে হিজবুল্লাহ ও ইরানের প্রতিরোধ শক্তি আগের চেয়ে দুর্বল। এর সুযোগ নিয়েই ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। কিন্তু যদি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে অগ্নিগর্ভে পরিণত করতে পারে।

বিশেষ করে পারস্য উপসাগরের তেল-গ্যাস স্থাপনাগুলো মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ইতোমধ্যেই ইসরায়েল ইরানের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে এবং ফজর জাম রিফাইনারিতে হামলা করেছে, যার জবাবে ইরান হাইফার তেল শোধনাগারে হামলা চালায়।

‘নর্থ কোরিয়া’ হবার পথে ইরান?


হিয়ারস্ট সতর্ক করে বলেন, ইরানের প্রচলিত অস্ত্র যদি দুর্বল হয়ে যায়, তবে তারা পারমাণবিক অস্ত্রকেই আত্মরক্ষার প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করবে। জনমত ইতোমধ্যে পারমাণবিক বোমার পক্ষে ঝুঁকছে।

ট্রাম্প বলেছিলেন, "মধ্যপ্রাচ্যে নর্থ কোরিয়ার মতো কিছু হতে দেওয়া হবে না", কিন্তু তার পদক্ষেপ হয়তো সেটাকেই বাস্তব করে তুলছে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই যুদ্ধ থামলেও কি সত্যিই শান্তি ফিরবে?

MEE

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন
মুক্তকলম ২৪

📢 মুসলিম বিশ্বের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন মুক্তকলম২৪
আমাদের
ফেসবুক পেজটেলিগ্রাম চ্যানেল-এ যুক্ত থাকুন আজই!