উত্তরায় ট্র্যাজেডির প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ: ‘ভবনে পড়েছে বিমানটি মাঠে নয়’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী, প্রেরণা।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ক্লাস শেষে বাইরে বের হলে প্রেরণা আকাশে একটি বিমানের ইঞ্জিনে ধোঁয়া দেখতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বিমানটি কলেজের হায়দার আলী ভবনের উপর বিধ্বস্ত হয়। এরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেরণা বলেন, “আমাদের চোখের সামনে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ পুড়ে গেছে, কারও হাত-পা ছিঁড়ে গেছে। যাদের ভবনে নেওয়া হচ্ছিল, তারা সবাই কাঁদছিল। বলা হচ্ছিল সব ঠিক আছে, কিন্তু আমরা দেখছিলাম বাস্তবতা আরও ভয়াবহ।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হলেও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হয়নি। অনেককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভবনটি পূর্বে একটি হোস্টেল ছিল, জানালাগুলো কাঁটা থাকায় অনেকেই সেখান দিয়ে বের হতে পারেননি। সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনের গেট ভেঙে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে। ইংরেজি ভার্সনের প্রায় ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থী ভবনে ছিলেন বলে জানান প্রেরণা।
তিনি বলেন, “আমি দেখেছি অনেকের হাত-পা একদম পুড়ে গেছে, চামড়া উঠে গেছে, স্কুল ড্রেস ছিঁড়ে গেছে, শরীর রক্তাক্ত। অনেকের চেহারা চেনা যাচ্ছিল না। তারা চেয়ারে বসা অবস্থায়ই অচল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছিল তারা জীবিত নেই।”
প্রেরণার দাবি, বিমানটি ভবনে পড়েছে, মাঠে নয়। মাঠে পড়ার খবরটি ভুল তথ্য।
এখন পর্যন্ত ১৯ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে চ্যানেল ২৪ ও অন্যান্য বাংলাদেশি নিউজ মিডিয়া।